রোধ কাকে বলে ? রোধের সূত্রগুলি বিবৃত ও ব্যাখ্যা কর।
রোধ:
পরিবাহির
যে ধর্মের দরূন এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় তাকে পরিবাহির রোধ বলা হয়।
একে R দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
রোধের সূত্র দুইটি। যথা :
১.
রোধের দৈর্ঘের সূত্র।
২.
রোধের ক্ষেত্রফলের সূত্র।
রোধরে
দৈর্ঘের সূত্র: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট উপাদান বিশিষ্ট
কোনো পরিবাহকের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে পরিবাহকের রোধ এর দৈর্ঘের সমানুপাতিক।
আরো জানুন :
১. দর্পন কাকে বলে? দর্পন কত প্রকার ও কি কি ? এবং বিম্ব কাকে বলে ? বিম্ব কত প্রকার ও কি কি ?
২. আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে? প্রতিসরণাংক কাকে বলে? এর রাশি মালা প্রতিপাদন কর?
৩. তড়িৎ আবেশ কাকে বলে ? তড়িৎ আবেশ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে কিভাবে একটি অনাহিত বস্তুকে ধনাত্মক চার্জে চার্জিত করা হয় বর্ণনা কর।
ব্যাখ্যা: মনেকরি,
কোনো পরিবাহকের দৈর্ঘ্য L ও রোধ R
রোধের দৈর্ঘ্যের সূত্রানুসারে
পাই,
R ∝ L
অর্থাৎ তাপমাত্রা ও উপাদান
পরিবাহীর ক্ষেত্রফল অপরিবর্তিত রেখে পরিবাহকের দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ করলে রোধ দ্বিগুণ
হবে। আর পরিবাহকের দৈর্ঘ্য তিনগুন করলে রোধ তিনগুন হবে।
রোধের
ক্ষেত্রফলের সূত্র : নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও নির্দিষ্ট উপাদান
বিশিষ্ট কোনো পরিবাহকের দৈর্ঘ্যে স্থির থাকলে কোনো পরিবাহকের রোধ ক্ষেত্রফলের ব্যাস্তানুপাতিক।
ব্যাখ্যা
: মনেকরে, কোনো পরিবাহকের ক্ষেত্রফল A ও রোধ R
রোধের ক্ষেত্রফলের সূত্র হতে
পাই,
অর্থাৎ তাপমাত্রা, উপাদান ও
পরিবাহকের দৈর্ঘ্য অপরিবর্তীত রেখে পরিবাহকের ক্ষেত্রফল দ্বিগুণ করলে রোধ হবে অর্ধেক
এবং ক্ষেত্রফল তিনগুন করলে রোধ হয় এক তৃতীয়াংশ।
Post a Comment