রোধ কাকে বলে ? রোধের সূত্রগুলি বিবৃত ও ব্যাখ্যা কর। চল তড়িৎ Part 3

রোধ কাকে বলে ? রোধের সূত্রগুলি বিবৃত ও ব্যাখ্যা কর।

রোধ: পরিবাহির যে ধর্মের দরূন এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় তাকে পরিবাহির রোধ বলা হয়।

একে R দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

একটি রোধ

রোধের সূত্র দুইটি। যথা :

১. রোধের দৈর্ঘের সূত্র।

২. রোধের ক্ষেত্রফলের সূত্র।

রোধরে দৈর্ঘের সূত্র: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ‍নির্দিষ্ট উপাদান বিশিষ্ট কোনো পরিবাহকের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে পরিবাহকের রোধ এর দৈর্ঘের সমানুপাতিক।

আরো জানুন :

১. দর্পন কাকে বলে? দর্পন কত প্রকার ও কি কি ? এবং বিম্ব কাকে বলে ? বিম্ব কত প্রকার ও কি কি ?
২. আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে? প্রতিসরণাংক কাকে বলে? এর রাশি মালা প্রতিপাদন কর?
৩. তড়িৎ আবেশ কাকে বলে ? তড়িৎ আবেশ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে কিভাবে একটি অনাহিত বস্তুকে ধনাত্মক চার্জে চার্জিত করা হয় বর্ণনা কর।


একটি পরিবাহী দন্ড

ব্যাখ্যা: মনেকরি, কোনো পরিবাহকের ‍দৈর্ঘ্য L ও রোধ R

রোধের দৈর্ঘ্যের সূত্রানুসারে পাই,

                                             R ∝ L

অর্থাৎ তাপমাত্রা ও উপাদান পরিবাহীর ক্ষেত্রফল অপরিবর্তিত রেখে পরিবাহকের ‍দৈর্ঘ্য ‍দ্বিগুণ করলে রোধ দ্বিগুণ হবে। আর পরিবাহকের দৈর্ঘ্য ‍তিনগুন করলে রোধ তিনগুন হবে।

রোধের ক্ষেত্রফলের সূত্র : নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও নির্দিষ্ট উপাদান ‍বিশিষ্ট কোনো পরিবাহকের দৈর্ঘ্যে স্থির থাকলে কোনো পরিবাহকের রোধ ক্ষেত্রফলের ব্যাস্তানুপাতিক।

ব্যাখ্যা : মনেকরে, কোনো পরিবাহকের ক্ষেত্রফল A ও রোধ R

রোধের ক্ষেত্রফলের সূত্র হতে পাই,

অর্থাৎ তাপমাত্রা, উপাদান ও পরিবাহকের দৈর্ঘ্য অপরিবর্তীত রেখে পরিবাহকের ক্ষেত্রফল দ্বিগুণ করলে রোধ হবে অর্ধেক এবং ক্ষেত্রফল তিনগুন করলে রোধ হয় এক তৃতীয়াংশ।

Post a Comment

Previous Post Next Post